বিরোধী দলনেতা বাছতে ২ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে বৈঠকে বিজেপি
দলের অভ্যন্তরে আদি-নব্য বিবাদের কথা মাথায় রেখেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচনে বসছে গেরুয়া শিবির। বিরোধী দলনেতা কে হবেন তা নিয়ে দলীয় বিধায়কদের মতামত নিতে সোমবার কলকাতায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে বসছে বিজেপি। এছাড়া এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে নিযুক্ত দলের দুই পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব।বিরোধী দলনেতা বাছতে রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ভূপেন্দ্র যাদবকেই দায়িত্ব দিয়েছেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডারা। সেই মতো এদিন সকালে হেস্টিংস কার্যালয়ে বসবে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক। দলের নবনির্বাচিত ৭৭ জন বিধায়ককে ডাকা হয়েছে বৈঠকে। এছাড়া, রাজ্যের শীর্ষনেতারাও থাকবেন। বৈঠকে বিধায়কদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে বিরোধী দলনেতা ঠিক করার বিষয়ে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সবার মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করা হবে।এদিকে সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতা উপর থেকে কাউকে চাপিয়ে দিতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ, রাজ্যে দলের আশানুরূপ ফল না হওয়ার পিছনে সেই আদি-নব্য দ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলে নতুন আসা ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়ার ফলেই এই অবস্থা বলে দাবি আদি নেতা-কর্মীদের। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসে টিকিট পেয়ে যাওয়াদের অধিকাংশই হেরে গিয়েছেন। এই দলবদলুদের ভালভাবে নেয়নি মানুষ। তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনটাই মনে করছেন রাজ্য বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীরা। কাজেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচন সহমতের ভিত্তিতেই করতে চায় শীর্ষনেতৃত্ব। তবে বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্লাই ভারী বলে মনে করা হচ্ছে। মুকুল রায়ের নাম প্রথমে থাকলেও মুকুলবাবুর শরীর ভাল নেই। বিরোধী দলনেতা হলে সারা রাজ্যজুড়েই ছুটে বেড়াতে হবে। মুকুল রায়ের পক্ষে সেই ছোটাছুটি সম্ভব নয়। কারণ তাঁর শরীর ঠিক নেই। কিন্তু রাজ্য বিজেপির পুরনো নেতৃত্বের একটা বড় অংশই আবার চাইছে মনোজ টিগ্গাকেই বিরোধী দলনেতা করা হোক। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এবারও জয়ী হয়েছেন। এর আগে পরিষদীয় দলের নেতাও তিনি ছিলেন।